📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: এবিভিপি রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকারের উপর রাতের অন্ধকারে প্রাণঘাতী হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরে। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। অনিরুদ্ধ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন এবিভিপির রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এবিভিপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, “এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক (দক্ষিণবঙ্গ) অনিরুদ্ধ সরকারের ওপর তৃণমূলের জেহাদি ও হার্মাদ বাহিনীর নৃশংস হামলা, গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে।গতরাতে বোলপুর শহরে ফের একবার প্রমাণ হল যে, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক মতবিরোধ সহ্য করতে না পেরে সন্ত্রাসের পথেই হাঁটছে। এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক ও লড়াকু ছাত্রনেতা অনিরুদ্ধ সরকারের ওপর দলবেঁধে নৃশংস হামলা চালায় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ ছিল পূর্বপরিকল্পিত, উদ্দেশ্য ছিল ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা।বর্তমানে অনিরুদ্ধ সরকার গুরুতর আহত অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, তৃণমূলের হাতে এখন রাজনীতি নয়—শুধু সন্ত্রাসের অস্ত্র। তারা ভয় পায় একজন তরুণ,প্রতিবাদী ছাত্রনেতাকে, যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জানে।আমরা তীব্র ভাষায় এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা করছি। “
এবিভিপির কেন্দ্রীয় কার্যসমিতির সদস্য শুভব্রত অধিকারী বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই—এই কাপুরুষদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে রক্তাক্ত করার সাহস না পায়। অনিরুদ্ধ সরকার শুধু একজন ছাত্রনেতা নন, তিনি আজ হাজারো ছাত্র-যুবর কন্ঠ। এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে এবিভিপি প্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান করছে।”
এবিভিপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যা রেখা সরকার বলেন, “এই ঘটনায় এবিভিপি যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হবে। একইসাথে পুলিশের এফ আই আর না নেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।”