ভাদ্র সংক্রান্তিতে রান্না পুজো

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: অরন্ধন বা রান্না পুজো মূলত দক্ষিণবঙ্গের সনাতনী হিন্দুদের এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব । আগের দিন রাতে রান্না করে সেই বাসি খাবার আচারবশত পরের দিন খাওয়ার রীতিই হল অরন্ধণ।। ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসা পূজোর দিন মনসা পূজার অবিচ্ছেদ্য অংশই হল অরন্ধন উৎসব।। অরন্ধন কে ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়ার উৎসবও বলা হয়ে থাকে।। ভাদ্র সংক্রান্তির আগের দিন রান্না করে, সংক্রান্তিতে মা মনসা কে উৎসর্গ করে তবে খাওয়া হয়। সারা ভাদ্র মাস জুড়েই বিভিন্ন দিনে বা  তিথিতে পূজোর ব্যবস্থা থাকে।। সেই মতো অরন্ধন কোথাও “ইচ্ছারান্না” আবার কোথাও “বুড়োরান্না”।। মূলত বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পালিত হলে সেটিকে “বুড়োরান্না” বলা হয়। পাকশাল বা হেঁসেলের উনানের গর্তই হল মা মনসার প্রতীক।। হিন্দু গৃহিণীরা পরিবারের কল্যাণার্থে ও সর্পভয় হতে পরিত্রাণ পেতে পাঠশালের এক স্থানে শালুক ও ফনিমনসা গাছের ডাল দিয়ে মা মনসার ঘট স্থাপন করেন।। পুজোর আগের দিন রান্না করা খাবারের বিভিন্ন পদের কিছু অংশ সাজিয়ে উৎসর্গ করা হয় দেবীকে।।। মরশুমের সেরা সবজি ও মাছ আরাধ্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করাই এই উৎসবের প্রধান রীতি।। নিরামিষ এবং আমিষ উভয় রান্নারই প্রচলন আছে।। তবে বেশিরভাগ বাড়িতেই আমিষ রান্নার প্রচলন।। ইলিশ, চিংড়ি, হরেকরকম ভাজাভুজি, ডাল, চালতার চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া, পিঠে সহযোগে পান্তা ভাত।। অদ্ভুত ব্যাপার আমিষ রান্নায় মাছ থাকলেও পিঁয়াজ বা রসুন কোন পদে ব্যবহৃত হয় না।। অরন্ধনের জন্য রান্নার সময় উনানের আঁচ সাধারণত একটানা জ্বালাই রীতি বা নিয়ম।। ধর্মপরায়ণ বাঙালী রমনীকুল পূজা বারব্রত উপলক্ষে উপোসী থেকে পূজা সমাপনান্তে দেবীর ব্রতকথা পাঠ বা শ্রবণ করেন।।