📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে হিজবুত তাহরীর, জামায়াত-ই-ইসলামী, এবি পার্টি ও অধুনা গঠিত এনসিপিসহ অন্যান্য ডানপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জঙ্গীগোষ্ঠীর বিতর্কিত ও সহিংস কর্মকান্ডে সমগ্র দেশ আজ পর্যুদস্ত। দেশে আবার ফিরে এসেছে ১৯৭১ সালের হায়েনারা, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের প্রেত্মাতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপক্ষতা-কে মুছে দিয়ে জোর করে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে অতি ডানপন্থী ধর্মাশ্রয়ী আদর্শকে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িকে ধ্বংস করে দেওয়া। পাঠককে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি এপর্যন্ত দু’বার আক্রমণের শিকার হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা হারিয়েছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে। শত চেষ্টা করেও জাতির পিতা, বঙ্গমাতা, ছোট্ট রাসেল, শেখ কামাল ও শেখ জামাল কাউকেই আমরা ফিরে পাবে না। তবু এতদিন বাড়িটি ছিলে। বাড়িটির সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠবার সময় মনে হত এই সিঁড়িতেই পড়ে ছিল আমার পিতার রক্তাক্ত মৃতদেহ, চোখের সামনে ফুটে উঠত ইতিহাসের কত ঘটনা, কত চরিত্র! কিন্তু অর্বাচীন নব্য রাজাকারের দল সেই বাড়িটিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে, ওদের ভয় বঙ্গবন্ধুর সেই ভরাট কন্ঠ ৩২ নম্বরের বাড়িটি থেকেই আবার স্বাধীনতা ঘোষণা করবে, বীর বাঙ্গালী আবার গর্জে উঠবে একাত্তরের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে। পুন:প্রতিষ্ঠা করবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে।
এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই আজকের এই লেখা এবং লেখাটির দুইটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ২৫ মার্চের কালরাত্রির বর্ণনা থাকবে এবং একই সাথে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখে স্বাধীনতার ঘোষণার বর্ণনা। প্রবন্ধটির দ্বিতীয় অংশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব, বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতা দিবসের সঠিক ইতিহাস কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় – সেই সংক্রান্ত আলোচনা।
বাঙ্গালীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর বঙ্গবন্ধু
