বন্ধ কবিতা উৎসব! পাল্টা বিকল্প ভাবনা কালচারাল লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ২০২৫ এ দাড়ি পড়ল রাজ্য সরকারের কবিতা উৎসবে। আর তারই পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে ২৩ জুন গোলপার্কে রামকৃষ্ণ মিশনে কবি সম্মেলন এর ঘোষণা করল কালচারাল লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সাধারণ সম্পাদক প্রীতম সরকার সহ  সুব্রত রায় ,পার্থ সরকার সহ সংগঠনের অন্যান্য শিল্পী সদস্যরা।

সংগঠনের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার হঠাৎ করে কবিতা উৎসব বন্ধ করলেন তারও কোন সদুত্তর নেই, সকল কবি ও সাহিত্যিকরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন, প্রকৃত ব্যাখ্যার দাবী জানিয়েছেন তিনি, শুধু তাই নয় ফেসবুকে পোস্ট করে বিভিন্ন কবি ও সাহিত্যিকরা সদুত্তর চেয়েছেন ,কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি, রাজ্য কবিতা একাডেমিতে দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়েছে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।  ২৩ শে জুন থেকে কলকাতা সহ আসানসোল, শিলিগুড়ি ও অন্যান্য জেলায় কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হল কালচারাল লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের তরফে।

জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, এই উৎসব সবার জন্য, কবি সাহিত্যিক ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা এই উৎসবে যোগ দিতে পারবেন, প্রতিবাদের কবিতা নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলা ভাষা নিয়ে ছেলে খেলা করে চলেছে, এমনকি যিনি দায়িত্বে আছেন তিনিও কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না, এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কটাক্ষের সুরে বলেন, সরকারের ব্যর্থ বসু, কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গদিতে বসে, ডাক্তারি থেকে কবিতা নাটক সবই করেন, তাই কবিদের সম্মান দিতে পারছেন না। এমন কি কবিতা উৎসবে যিনি রয়েছেন সুবোধ সরকার, তিনি একজন নিজে কবি, তার কাছে জানতে চাই, কেন এই কবিতা উৎসব বন্ধ করা হলো, আমরা কালচারাল এন্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গল তো তিন বছর ধরে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকি, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় কবিতা উৎসব, আর আজও সরকার কবিতা উৎসব সব বন্ধ করে দিলেও, আমরা সমস্ত কবিদের পাশে আছি, কবিদের নিয়ে আরও বড় করে কবিতা উৎসব অনুষ্ঠান করছি।আজ এই সম্মেলন থেকে আমাদের দাবী,

উৎসব সংক্রান্ত আর্থিক বেনিয়মের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক রাজ্য সরকার।

কোন কবি বা আবৃত্তিকার যেন অবহেলার শিকার না হোন, তাদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারক

শিল্প সংস্কৃতির পরিসরে, ঘনিষ্ঠতা বা চেনা মুখ ভিত্তিক সুযোগ প্রদানের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

শিল্পীদের সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে যোগ্যতা ও কৃতিত্বকে ভিত্তি করে, তাদের সুযোগ দিতে হবে।

বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পরেও, এই বছর বাংলা থেকে কোন কোন লেখক সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পেলেন না, এই বিষয় সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে জানাতে হবে।।

যদি রাজ্য সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরা এই প্রশ্নগুলি সঠিক উত্তর না দেন আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবেন কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য সংস্থাদের নিয়ে। আর একটা কথা তীব্রভাবে জানিয়ে দিলেন, তুই আমাদের অনুষ্ঠানে কোন বাধা সৃষ্টি হয়, বলে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে হলেও কবিতার উৎসব করবেন।