📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আমি কখনও আমার পরিবারকে ব্যবহার করে কোথাও পৌঁছাইনি। আমার পথ আমি নিজে তৈরি করেছি—আমার কাজ, আমার কণ্ঠস্বর আর নিজেকে সত্যিকারেরভাবে প্রকাশ করে। পাশাপাশি, আমি আমার দায়িত্বও পালন করি—মায়ের সঙ্গে মিলে আমাদের ডান্স স্কুল চালাই।
যারা সবকিছুতেই মহিলাদের দোষ দেন বা ধর্ষকের মানসিকতার প্রতি সহানুভূতি দেখান, তাদের সম্মান আমার দরকার নেই। আমার এই পোস্ট শুধুমাত্র আমার ফলোয়ারদের জন্য—কোনো অশালীন ভাষা ব্যবহার না করেই লিখেছি, যেমনটা অনেকেই আমায় উদ্দেশ্য করে করেছে। বাংলা মিডিয়ায় যারা ধর্ষক মনোভাবকে সমর্থন করে, তারা আমাকে নিয়ে যা খুশি বলুক—তাতে আমার জীবনে কিছু এসে যায় না। বলতেই থাকুন। শুধু প্রার্থনা করি, আপনার কন্যাসন্তান যেন না থাকে।
আমি আমার বাবা ও ঠাকুরদাকে গভীরভাবে সম্মান করি। তাঁরা আজ আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু এটা তাঁদের মনোভাব ছিল না। আমার ফলোয়িং আমি নিজে অর্জন করেছি—যোগ্যতার ভিত্তিতে। আপনি আমাকে “অর্জনহীন” বলতেই পারেন, আর নিজে সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে থাকতে পারেন। আমি জানি, আমি কী অর্জন করেছি—ভালবাসা, সম্মান আর নিজের মতো বাঁচার সাহস।
এই পোস্টটা আমি বাংলায় লিখছি, কারণ আমার জাতীয় স্তরের দর্শকরা আমাকে ভালোবাসেন আমি কে, সেটা জানার জন্য—আমি কোন পরিবার থেকে এসেছি, তার জন্য নয়। আমি সিনেমা করেছি, আবার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েও দিয়েছি—কারণ এটা আমার জগৎ নয়, সেটা বলার সাহস আমার আছে। কেউ যদি ভাবে আমি খ্যাতির জন্য এসব করছি—তবে বলি, এটাই কারণ আমি কলকাতা ছেড়ে চলে এসেছি।
যারা আমাকে সমর্থন করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। কিন্তু আমি কখনওই এমন কিছু সমর্থন করব না, যা কোনও শিশুকে ‘না’ বলতে বাধা দেয়। যদি ছোটবেলায় এসব আমরা জানতাম, তাহলে অনেক খারাপ ছোঁয়া আমরা এড়াতে পারতাম।
মিডিয়া লিখে যাক। ট্রোলরা ট্রোল করে যাক। আমি পাত্তা দিই না।
ভুল তো ভুলই।
সকল নারীকে বলছি—সাবধানে থাকুন, আর কখনওই victim blaming মেনে নেবেন না। (Also I’m so done with this topic where the truth is so obvious)
Ok Tata. Back to life.