পরাধীন ভারতবর্ষে দেবীর বাহন ছিল ঘোটকমুখী সিংহ, অবাক করে নেপথ্যে কাহিনি

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: সিংহের পিঠে বসে আছেন দেবী। দুপাশে তাঁর চার ছেলেমেয়ে। এই ছবিই বাঙালি দেখে এসেছে চিরকাল। মহিষাসুরমর্দিনী দেবীর বাহন সিংহ। সিংহের শক্তি ও তেজের কথা কে না জানে! কিন্তু এই সিংহ কি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শরৎকালীন পুজোর সেই সিংহ? বোধহয় না।

কারণ, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের চালু করা শরৎকালীন দুর্গাপুজোয় দেবীর বাহন ছিল ঘোটকমুখী সিংহ। পৌরাণিক কাহিনিতে ঘোড়ার অশ্বমেধ যজ্ঞের কথা রয়েছে। তাছাড়া যুদ্ধ সম্পর্কিত যেকোনও ঘটনায় সিংহ নয়, ঘোড়ার উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করা যায়। তাই অসুর নিধনে দেবী ঘোটকমুখী সিংহ নিয়ে আবির্ভূতা হয়েছিলেন বলে অনেকেই মনে করে থাকেন। আর সেই কারণেই দুর্গাপুজোর প্রথম দিকে ঘোড়ামুখী এই সিংহকে দেখা যেত দেবীর বাহন রূপে।
ঘোটকমুখী সিংহ বলতে বোঝায় শরীরের আকৃতি সিংহের মতো হলেও মুখটি ঘোড়ার। পরাধীন ভারতবর্ষে বহু বাঙালি বাড়ির পুজোতেই দেখা মিলত এই ঘোটকমুখী সিংহের। মনে করা হয়, এই ঘোড়া ছিল ব্রিটিশ বাহিনির প্রতীক। কালের বিবর্তনে এই ঘোড়ামুখী সিংহ আজ হারিয়ে গেছে। এটিই ছিল দেবীর প্রথমদিকের বাহন। পরে ঘোড়ার মুখের জায়গায় আসে আসল সিংহের মুখ। যদিও কলকাতার মিত্রবাড়িতে এখনও সেই প্রাচীন ধারা অনুসৃত হয়। এমনকী কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতেও সিংহের মুখ অশ্বসদৃশ।