📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। বিজেপি, তৃণমূল দুই দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে একে একাধিক জেলায় এসেছেন নতুন জেলা সভাপতি। কিছু জায়গায় এনিয়ে কোন্দল থাকলেও ভোটের কথা মাথায় রেখে অন্তত বাইরে একতাবদ্ধতা দেখানোর মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। আর এসবের মধ্য়েই রবিবার হয়ে গেল বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে অমিত মালব্য, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদাররা হাজির ছিলেন। দলের সাংগঠনিক বৈঠক। আগামী দিনে দল কোন পথে এগোবে তা নিয়ে আলাপ আলোচনা। তবে সবথেকে বড় বিষয় হল বঙ্গ বিজেপির ক্যাপ্টেন কে হবেন?
সুকান্ত মজুমদার বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর জায়গায় এবার দলের রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এত বিরাট দায়িত্ব কার উপর দেবে দল? কে সেই সর্বজনগ্রাহ্য নেতা? জল্পনা একেবারে তুঙ্গে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার বিজেপি মেরুকরণের সবরকম চেষ্টা করছে। বাস্তবে তা কতটা কাজ করবে তা বলবে সময়। তবে দুর্বল সংগঠন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীভাবে রুখে দাঁড়াবে বঙ্গ বিজেপি তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।সেই সঙ্গে ভিনরাজ্যের নেতারা অতীতে এসে জনসভায় ভিড় বাড়াতে পারলেও ইভিএমে কতটা সুবিধে করতে পেরেছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে মমতাটে টক্কর দিতে কাকে রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে স্বস্তি পাবে দল? সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আজকের বৈঠক হল সাংগঠনিক বৈঠক। বিজেপিতে নেতার পরিবর্তন হয়। কিন্তু কাজটা একই থাকে। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একজন ব্যক্তি সব বদল করতে পারে না। এটা একটা টিম গেম। সেই টিমের ক্যাপ্টেন বদল হয়। কিন্তু গেম একই থাকে।
গেম মানে খেলা। একটা সময় এই খেলা হবে স্লোগান দিয়ে মাত করেছিল তৃণমূল। তবে এবারও বাংলায় ফের খেলা। সেই খেলাতে বিজেপি টিমের ক্যাপ্টেন কে হবেন? তবে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে যে শুভেন্দু এই দৌড়ে নেই। তবে এবার কাকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দল দায়িত্ব দেবে? করে ফেলেছে বিজেপি। তার ইঙ্গিতও মিলেছে। বাংলার একাধিক দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। রয়েছে। বিশেষত বাঁকুড়ায় ও হুগলিতে। বাঁকুড়ায় একটিতে বড় করে পদ্মফুল আঁকা। লেখা রয়েছে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই। ২০২৬-এ বিজেপি সরকার চাই। এরপর আর একটি দেওয়ালে লেখা, হিন্দুরা বাঁধো জোট, ২০২৬এ পদ্মফুলে সব ভোট। অপর দেওয়ালে লেখা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত হিন্দু এক হোন। এইবার দরকার হিন্দুদের বিজেপি সরকার। অপর দেওয়ালে লেখা হিন্দুদের বাঁচার প্রতীক। এরপরই পদ্মফুলের ছবি। তবে এসব ছবি দেখে চমকে যাচ্ছেন অনেকেই।