📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে (Harvard University) ‘শাস্তি’ দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন। তাঁদের মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থগিত রাখা হয়েছে একটি বিরাট অঙ্কের চুক্তিও। তবে শুধু এটুকু করে চুপ করে যাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার জনসমক্ষে বলে দিলেন, হার্ভার্ডকে নাকি মহান বিশ্ববিদ্যালয় বলাই যায় না! কেন এমন বললেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি বিভিন্ন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি-বিদ্বেষী পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ট্রাম্প প্রশাসন। সে কারণে তাঁরা ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কী কী করণীয়, এই প্রেক্ষিতে কিছু নির্দেশ দেয়। স্পষ্ট বলা হয়, ক্যাম্পাসের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলি। তাই তাঁদের নির্দেশ না মানলে ‘শাস্তি’ দেওয়া হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তেরই ঘোর বিরোধিতা করে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। তারপরই তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন ট্রাম্প।
এবার সোশ্যাল মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বললেন, ”হার্ভার্ডকে আর শিক্ষার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের কোনও তালিকাতেও এটি আর আসে না!” ট্রাম্পের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়াশোনা করার পরিবেশই নেই। হাস্যকর একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তাদের ফান্ড আটকে দেওয়া যে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটাই ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হার্ভার্ডকে ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ‘শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু হার্ভার্ডকে ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন? সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ এবং পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রেও সরকারি ভাবনাকে গ্রহণ করতে বলেছে ট্রাম্প সরকার।
এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকার যা বলছে তা তাঁদের শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বাধীনতা হারাবে না এবং সাংবিধানিক কোনও অধিকারকেও ছিনিয়ে নিতে দেবে না।