📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছেন রাজনৈতিক মহলে। জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে আঁতাত এবং পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরাসরি কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের দারস্থ হয়েছেন সাংসদ। কীর্তি আজাদ কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এমনকি তিনি চিঠিতে সিবিআই বা ইডির মাধ্যমে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। এই চিঠি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স একাউন্ট থেকে পোস্ট করেন এবং এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আই-প্যাক মারফত একটি রিপোর্ট কলকাতার কালীঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ নিছক অভিযোগ নয়, এই ভাবে চলতে থাকলে, আগামী নির্বাচনে আসানসোলের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের ভোটব্যাঙ্ক বড় ধাক্কা খেতে পারে। এমনকি আশঙ্কা করা হচ্ছে, জেলা সভাপতি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রটিও ধরে রাখতে পারবেন না। আসানসোল জেলা তৃণমূলের প্রায় প্রত্যেক নেতাই ক্ষুব্ধ বর্তমান সভাপতির কাজকর্মে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে – জেলার অভ্যন্তরীণ কোন্দল কি আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে? দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে রেখেছে এবং খুব শিগগিরই দলের তরফে এ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, বার বার এই অভিযোগের জন্য আগামী নির্বাচনে টিকিট পাওয়া খানিক অনিশ্চিত হয়ে পড়ল নরেনের।