📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: বিকাশ ভবনের সামনে থেকে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন তুলে দিতে এবার অ্যাকশনে নামল পুলিশ! জানা গিয়েছে, আজ (বৃহস্পতিবার – ১৫ মে, ২০২৫) রাত ৮টা নাগাদ হঠাৎই আন্দোলনস্থলে পুলিশের সংখ্য়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবং তারপরই পুলিশ জোর করে আন্দোলনকারীদের সেখান তোলার চেষ্টা করা হয়।পুলিশ তাঁদের হটাতে এসেছে, এটা বুঝেই আন্দোলনকারীদের অনেকে রাস্তায় শুনে পড়েন। তাতেও অবশ্য পুলিশকে ঠেকানো যায়নি। তারা টেনে, হিঁচড়ে বিক্ষোভরত চাকরিহারা শিক্ষকদের কার্যত তুলে নিয়ে যায়। শুরু হয় লাঠিচার্জ!
উল্লেখ্য, আজ দুপুর থেকেই (১২টা নাগাদ) বিকাশ ভবনের সামনে জমায়েত করতে শুরু করেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করেই চাকরি পেয়েছেন, এবং তাঁরা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তাই নিজেদের হারানো চাকরি ফেরত পেতে তাঁরা আর কোনও পরীক্ষা দেবেন না। তাঁরা যাতে সসম্মানে, স্বপদে পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, সেটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
এমনকী, আজ বিকাশ ভবনের মূল ফটক ভেঙে ফেলারও অভিযোগ ওঠে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়, তাঁরা অনেকেই বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়ে কার্যত ভবনের দখল নিয়ে নিয়েছেন! প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীরা জানান, পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের চাকরি ফেরানোর বিষয়ে সরকার পক্ষ প্রতিশ্রুতি না দিলে তাঁরা আন্দোলন প্রত্য়াহার করবেন না। ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশ ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চলবে। কোনও কর্মী বা আধিকারিককে বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, তাঁদের জন্য খাবার বা জল সরবরাহে কোনও বাধা দেওয়া হবে না।এরই মাঝে বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বিক্ষোভস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও ক্ষোভ উগড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। সব্যসাচীকে লক্ষ করে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপর থেকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণই ছিল অবস্থানস্থল। রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ অ্য়াকশনে নামতেই বদলে যায় সেই ছবিটা। ধুন্ধুমার বেধে যায় বিকাশ ভবনের সামনে।
দেখা যায়, সকালে যে গেট ভেঙে ফেলা হয়েছিল, সেটিকে সবুজ রঙের একটি দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে। সকাল থেকেই বিকাশ ভবনের ভিতর প্রায় শতাধিক কর্মী আটকে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদেরও একে একে বের করে আনছে বলে জানা গিয়েছে।