ঘাসে কাটল পা, গাছে ভাঙবে মাথা? মেট্রোর কাজ নিয়ে বড় নির্দেশ দিতে পারে আদালত

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরে (পার্পল লাইন) মোট চারটি স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। এর জন্য কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। তবে সেই কাজের ওপর আইনি জটিলতার রক্তচক্ষু ঘুরঘুর করছে। একদিকে পরিবেশ, অন্যদিকে যাত্রী পরিষেবার স্বাচ্ছন্দ্য। এই আবহে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ শোনাতে পারে আদালত।

মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বিস্তৃত মেট্রো রুটে কাজ শেষ করতে ময়দান চত্বরের কয়েকশো গাছ কাটা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। এই আবহে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এতে আপত্তি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করে। এই আবহে মেট্রো কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছে, মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য ময়দান চত্বরের যে গাছ কাটা হবে তা পুনরায় প্রতিস্থাপন করা হবে। এর জন্য বনদফতরের কাছে অনুমতিও মিলেছে।

তবে মামলাকারীর পালটা দাবি, ময়দান চত্বরে যে গাছ কাটা হবে তা কোথয় প্রতিস্থাপন করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানায়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই আবহে রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা পেশ করবে আদালতে। সেই হলফনামা দেখে নিয়ে এই ইস্যুতে নির্দেশ দিতে পারেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিকে গত এপ্রিল মাসেই ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, এর আগে মাঝেরহাট সংলগ্ন টাঁকশালের জমিতে নির্মাণকাজের জন্য কিছু গাছ সরাতে হয়েছিল। টাঁকশালের অন্যত্র সেই সব গাছ নিয়ে গিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ময়দানের গাছগুলিকেও অন্যত্র নিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হবে।

মেট্রোর তরফে এর আগে জানানো হয়েছে, ওই গাছগুলি না কেটে, গোঁড়া থেকে তুলে বেলেঘাটার কাছে কামারডাঙ্গায় নিয়ে গিয়ে লাগানো হতে পারে। এদিকে ময়দান থেকে বেলেঘাটায় গাছ নিয়ে গিয়ে লাগানোর জন্যে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সাহায্য নিতে চলেছে মেট্রো। এর জন্যে যে সব অনুমতি প্রয়োজন, তা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *