গাঙ্গেয় বঙ্গে নিম্নচাপ অঞ্চল, দোসর ঘূর্ণাবর্ত! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী-অতিভারী ঝড়-বৃষ্টিতে ভাসবে জেলার পর জেলা

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কোথাও কোথাও গোড়ালি অবধি, তো কোথাও হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত জল জমতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন। কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জল জমে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের সামনে কিছু জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে।

ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির ফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে।

সোমবারও কলকাতা এবং শহরতলিতে প্রায় সারা দিন ধরেই বৃষ্টি হয়েছে। তার পরে রাতভর বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণা বৃদ্ধি পেয়েছে শহরবাসীর। মঙ্গলবার সকাল হতেই দেখা যায় শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে জল জমতে শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

রাজ্যে এমনিতেই সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু। তার ফলে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বর্ষণ হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতা এবং দক্ষিণের জেলাগুলিতে। মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও, যেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তীসগঢ়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। লাইনে জল জমায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায়। হুগলির আরামবাগে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, দুপুরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।