কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, কলম ধরলেন কাজী মাসুম আখতার

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কার্তিক মহারাজকে নিয়ে যা কোনও দিন প্রমাণ হবে  না ,এমন কেচ্ছা জুড়ে দিয়ে —

সন্ন্যাসী,পুরোহিত, পীর, মাওলানাদের বিরুদ্ধে চারিত্রিক কলুষতার খবর অহরহ আমরা দেখি ! প্রতিবাদও করি ! এই প্রতিবাদ একান্তই কাঙ্খিত। তবে ভাবখানা এমন ,আমরা নাই-বা পারলাম ! কিন্তু  ওরা ? ওরা কেন নিজেদের রিপু বা কামনা,বাসনার উপর লাগাম পরাতে পারবে না ?  ওদের যে ওসব থাকতে নেই !
আজকের বিতর্ক ওনাকে নিয়ে ।  উনি সন্ন্যাসী। ধর্ম ও নীতির চর্চা করেন । সাধারণ  মানুষের জীবনের অথৈ নদী পারাপারে স্বেচ্ছা শ্রমদান করেন। প্রান্তিক পড়ুয়াদের শিক্ষাদানে প্রাণপাত করেন । তবে উনি আত্মভোলা,সমাজ বিমুখ,বাস্তব বিমুখ নন ! সবচেয়ে বড় সমস্যা উনি প্রতিবাদী ! তাও আবার ক্ষমতাশালীর বিরুদ্ধে ! ইদানিং সেই প্রতিবাদী সত্ত্বা যেন একটু বেশিই বেড়েছে ! মানুষের কাছে উনি ইদানিং যেন একটু বেশীই জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন — যার সুফল যেন পাচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল  !
মূল সমস্যাটি মনে হয় এখানেই !
তাই মনে হয় ,এই সমস্যাটির মূল তার বিরুদ্ধে আজ ওঠা ধর্ষনের অভিযোগের মধ্যে নেই  ! ক ‘ দিন আগে তার বিরুদ্ধে ওঠা দাঙ্গাবাজ বা সন্ত্রাসবাদের তকমার মধ্যেও নেই ! আছে ভোটের মধ্যে। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করার মধ্যে। তাতে একজন প্রাজ্ঞ কর্মযোগীকে কর্দমাক্ত করা হলে– হোক। তাকে নিয়ে খেলা হোক। নেতাজি বা স্বামী বিবেকানন্দকেও বাঙালি জাতি ছেড়ে কথা বলেন নি ! আর উনি ! ধুস  ! আচ্ছা,রাজ্যপাল আনন্দ জী-কে নিয়ে এখন কি সেই রসালো খেলা বন্ধ হয়েছে  ?
অভিযোগকারিনী নাকি ঐ সন্ন্যাসীর কাছে চাকরি চেয়েছিলেন ! যদ্দুর জানি,পেয়েওছিলেন ! মনে হয় সুখেই  ছিলেন । তখন বিনিময়ে অন্য কিছু আপত্তিকর ওই সন্ন্যাসী যদি চাইতেন, তাহলে তো উনি ছেড়ে পালাতেই পারতেন ! তাহলে তারপর উনি  বিগত বারো বছর ধরে ওই প্রতিবাদিনী কি আরও  কিছু চেয়েছিলেন ?  যা পান নি ! যা বারো বছর পর অন্য কোথাও পেয়েছেন বা পাবেন বলে কেউ কথা দিয়েছেন ! তাই কি এই কাদা ছোঁড়া ? যে যৌন শোষণ বারো বছর আগে হয়েছিল — আত্মমর্যাদা ফিরে পেতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ– তাই কি বারো বছর বাদ ? কোনও সন্ন্যাসী বিরোধী দলের অতি প্রিয় তকমা পেলে, তা নিয়ে রাজনীতি হলে– নারীর আত্মমর্যাদা কি ডালপালা মেলে ? এমনটি হলে, যে কোনও খ্যাতিমান নারী বা পুরুষের মর্যাদায় এই  দুর্ভোগ এলো বলে !