📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সুরক্ষায় খামতি নয়। সে কথা কথা মাথায় রেখে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড রুটে বাড়ানো হল মেট্রোর সংখ্যা। সোমবার থেকেই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয় কাজ শুরু হচ্ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহেই বেশকিছু বদলের ঘোষণা করা হয়েছিল। মেট্রো রেলের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার থেকে ওই শাখায় মেট্রোর গ্রিন লাইন-২তে পরিষেবায় কিছু বদল আনা হচ্ছে। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের পর ‘খামখেয়ালিপনা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বাড়ানো হল পরিষেবা।
সেই মতোই সোমবার থেকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৮২টি মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাকি ৬৮টি মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পূর্বমুখী লাইনে সকাল ৬.৫৫ মিনিটে মিলবে প্রথম মেট্রো। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পূর্বমুখী লাইনে সকাল ৭.১২ মিনিটে প্রথম মেট্রো চলবে।
অন্যদিকে, হাওড়া ময়দান থেকে পশ্চিমমুখী লাইনে মহাকরণ পর্যন্ত প্রথম মেট্রো সকাল ৯.০৮ মিনিটে এবং মহাকরণ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সকাল ৯.২০ মিনিটে ছাড়বে। এছাড়া হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পূর্বমুখী লাইনে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯.৪৬ মিনিটে। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পূর্বমুখী লাইনে শেষ মেট্রো মিলবে রাত ৯.৫৮ মিনিটে। পাশাপাশি হাওড়া ময়দান থেকে পশ্চিমমুখী লাইনে মহাকরণ পর্যন্ত শেষ মেট্রো রাত ৯.০৮ মিনিটে এবং মহাকরণ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রাত ৯.২০ মিনিটে ছাড়বে।
অফিস টাইমে ভিড়ের চাপ থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, কাজের জন্য সামান্য প্রভাব পড়লেও অফিস টাইমে ২৪ মিনিটের বদলে ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা।
বর্তমানে, মেট্রোর গ্রিন লাইন ২-তে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দিনে ১৫০টি মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৭৬টি রয়েছে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত। বাকি মেট্রো হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত যাতায়াত করে।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, পূর্বদিকের সুড়ঙ্গের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেলেও পশ্চিম সুড়ঙ্গের কাজ এখনও থমকে আছে। কারণ ওই সুড়ঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের। আগের ঘটনা থেকে থেকে শিক্ষা নিয়েই তাই দেরি হলেও সঠিক দিশার সন্ধান পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। তবু এখনও মুক্তির উপায় মেলেনি।