একশো সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের, দিঘায় জগন্নাথধাম ঘিরে কর্মসংস্থান

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হয়। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নবান্নে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে যানবাহন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর এই নিয়োগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই নিয়োগের কারণে পর্যটনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মতো এবার বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হলো।এদিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচে দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির নির্মিত হয়েছে। এই মন্দিরেরই উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের পর স্বাভাবিকভাবেই সেখানে পর্যটকের সংখ্যা মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে। সাড়ে তিন দিনে ১০ লাখ পর্যটক সেখানে এসেছেন বলে খবর। বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এখানে ভিড় জমিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকতে ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁরা মন্দির চত্বরের যানবাহন ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। সেটাই এবার হতে চলেছে। আবেদনকারীরা দিঘা থানা এবং দিঘা মোহনা থানা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করবে। আর সেখানেই প্রত্যেকদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দিতে পারবে।অন্যদিকে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ মে। তার পরে কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে পরিষ্কার জানানো হয়েছে। ১১৪টি শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ এবং হুগলি জেলার সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ১২টি অতিরিক্ত প্যারামেডিকেল পদ তৈরির অনুমোদন মিলেছে। তবে এখানে আবেদনকারী সকলকে ন্যূনতম ২০ বছর বয়স হতে হবে। তার সঙ্গে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে। আর যাঁদের এনসিসি, এনএসএস, সিভিল ডিফেন্স–সহ কম্পিউটারের দক্ষতা রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।এছাড়া হুগলি জেলার সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে এই অনুমোদনের কারণে আরও দ্রুত ও ভাল জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। আর পরিবহণ দফতরের জন্য দু’টি নতুন আইন অফিসার পদ তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড থাকলে তার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দুটি থানা থেকে বেশ কিছু আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সুতরাং দিঘার মন্দিরকে ঘিরে এবার কর্মসংস্থান হতে চলেছে।

error: Content is protected !!