১৯৫১ সালের ৩১ আগস্ট শিশুমঙ্গল হাসপাতালে জ্যোতি বসু ও কমল বসুর প্রথম সন্তান হয়। একটি ফুটফুটে মেয়ে। তাকে দেখতে আসার পথে পুলিশ জ্যোতিবাবুকে তুলে নিয়ে যায়। দশ দিন পরে সেই মেয়ের জীবনাবসান ঘটে।
বাবা যখন মারা যান ,জ্যোতিবাবু তখন জেলে।
প্যারোলে সামান্য কিছু সময়ের জন্য ছাড়া পেয়ে বাবাকে শেষবারের মতো দেখে আসেন। শ্মশানে যান। সেখানে থেকে আবার জেলে।
স্বাধীন ভারতেও কমিউনিস্ট নেতাদের জীবনে ,এই নিপীড়ন , নির্যাতন ছিল/আছে /থাকবে।
তারপরেও মানুষ কমিউনিস্ট হয় কেন?
১৯৪৫ সালে ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেবার পর পাবলো পিকাসোর লেখা একটি ছোটো রচনা হঠাৎ নজরে এলো। শিরোনাম “আমি কেন কমিউনিস্ট হলাম”। সেখানে পিকাসো লিখছেন,’আমি কমিউনিস্ট হয়েছি কারণ আমাদের পার্টি অন্য যে কোনো পার্টির চেয়ে বেশি করে দুনিয়াটাকে জানতে আর গড়তে চেষ্টা করে, মানুষকে আরো স্পষ্ট চিন্তার অধিকারী করতে এবং আরো মুক্ত ও আরো সুখী করতে চায়। “
পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্রষ্টার লেখা। পড়ে বেশ ভালো লাগলো। এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতা কমরেড জ্যোতি বসুর জন্মদিন।৮ জুলাই।
-কমরেড বিপুল ভট্টাচার্যের লেখা।