রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মননে, চিন্তনে

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story:  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন (২৫শে বৈশাখ, ১৮৬১)—এই দিনটি বাঙালি সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগঘন মুহূর্ত। তাঁর জীবনে জন্মদিন ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আত্মিকভাবে জড়িত একটি উপলক্ষ। জন্মদিনে কী করতেন, কিংবা কোনো বিশেষ ঘটনা বা উপহার পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু চমৎকার ঘটনা রয়েছে:

১. জন্মদিন পালন শান্তিনিকেতনে:

রবীন্দ্রনাথ জন্মদিন সাধারণত শান্তিনিকেতনে সাদামাটাভাবে কিন্তু আন্তরিকভাবে উদযাপন করতেন। আশ্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর জন্য গান, কবিতা ও নাটকের আয়োজন করত। তিনি নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করতেন কিংবা নতুন কোনো রচনা পাঠ করতেন।

২. শিল্প ও সংস্কৃতির উৎসব:

জন্মদিনে ‘গুরুদেব’-কে শ্রদ্ধা জানাতে শান্তিনিকেতনে একধরনের সাংস্কৃতিক উৎসব হতো—গান, নৃত্য, পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে। কবিগুরুও অংশ নিতেন, তিনি নতুন গান বা কবিতা লিখে পাঠ করতেন এই উপলক্ষে।

৩. বিশেষ ঘটনা — ৮০তম জন্মদিনে “শেষ লেখা”:

রবীন্দ্রনাথের ৮০তম জন্মদিনে (১৯৪১) তিনি একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী কবিতা লেখেন, যা পরে “শেষ লেখা” নামে পরিচিত হয়:

“আমার জীবনপাত্রে এই শেষ পরশমৃত্তিকা,
আজিকে ভরিল পূর্ণিমার আলোকলিখা।”

এই কবিতা যেন তাঁর বিদায়ের পূর্বসুর হয়ে রইল।

৪. জন্মদিনে পাওয়া উপহার:

রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অনেকেই তাঁকে বই, চিঠি, নিজ হাতে লেখা কবিতা বা চিত্রকর্ম উপহার হিসেবে দিতেন। তিনি সাধারণত উপহার হিসেবে মানসিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, জওহরলাল নেহরু ও মহাত্মা গান্ধীও তাঁকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন॥

error: Content is protected !!