বিয়েতে আপত্তি? পরিবারকে তুষ্ট করতে বিকল্প বাজার গড়ছে ‘ফেক ওয়েডিং পার্টি’

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ‘তোমার বিয়ে কবে খাব?, ‘তাড়াতাড়ি বিয়ে করো, দাঁত থাকতে খেয়ে নি,’ বা ‘সবাই বিয়ে করছে, ভাবলাম একটু সেজেগুজে তোমার বিয়েতে মজা করব…’ একটা বয়সের পর এই সব কথা প্রায়ই শোনা যায়। বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত, এই সমাজে কেউই বাদ যায় না। কখনও কি মজার ছলে বলেছেন ‘চলো মিছিমিছি একটা বিয়ের পার্টি করেই ফেলি?’ মজার শোনালেও, একথা এখন বলতেই পারেন দিল্লির লোকজন। সেখানে এখন জমিয়ে হচ্ছে ‘ফেক ওয়েডিং’ বা ‘নকল বিয়ের অনুষ্ঠান।’

এই ধরনের পার্টিতে অতিথিরা ঝলমলে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে সেজেগুজে আসেন। ঠিক যেমনটা বিয়ের অনুষ্ঠানে হয়। সাজানো হয় আসল বিয়ের মতোই মঞ্চ ও পরিবেশ। আর তাল কাটে না মিউজিকে— বাজে বিয়ের হিট প্লেলিস্ট, ব্যান্ডের তালে নাচেন সকলে। তবে এখানে কোনও আসল বর-কনের দরকারই পড়ে না। আসলে বিয়ে নয়, মেজাজটাই আসল।

দিল্লির একজন সোশ্যাল মিডিয়া প্রফেশনাল অবন্তিকা জৈন ইনস্টাগ্রামে ‘ফেক সংগীত’ পার্টির একটি বিজ্ঞাপন দেখে এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন যে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে তা শেয়ার করে দেন। সেই থেকেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কলেজে পড়ার সময় আমরা বিয়ের থিমে একটা পার্টি করার স্বপ্ন দেখতাম। এই ইভেন্টটা সেই স্বপ্নকে বাস্তব করে তোলার একটা দারুণ সুযোগ বলে মনে হল।’

তাঁরা অনলাইনে সাইন আপ করে মাথাপিছু প্রায় ৫৫০ টাকা দিয়ে রেজিস্টার করেন। ২৫ এপ্রিল অবন্তিকা এবং আরও প্রায় একশো জন দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলির নামী ক্লাব জাইলোতে জড়ো হন এই ব্যতিক্রমী ‘ফেক সংগীত’ পার্টিতে।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা যায়, অবন্তিকা প্রথমে জামা কাপড় ও গোটা পার্টিটা নিয়ে একটু দ্বিধায় ছিলেন, কিন্তু পরে লেহেঙ্গা পরে পৌঁছে যান পার্টিতে। পার্টির ভেন্যুতে ঢুকেই তাঁর মনে হয়, আস্ত বিয়ে বাড়ি। রঙিন প্যাণ্ডেল, গাঁদা ফুলের সাজ এবং মজার মজার ফটো বুথ। ছিলেন মেহেন্দি পরানোর শিল্পীরাও, সবটাই আসলের মতো।

অবন্তিকার মতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল সংগীত— একেবারে বিয়ের গানের হিট কালেকশন। বলেন, ‘আমরা মনপ্রাণ দিয়ে নাচছিলাম। মাঝে মাঝে ঢোলওয়ালারা পরিবেশ আরও জমিয়ে তোলেন। পার্টি শেষ হয়ে গেলেও কেউই ক্লাব থেকে বের হতে চাইছিলেন না।’

শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, বয়স্করাও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

error: Content is protected !!